ব্রিটেনে আজ পার্লামেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হবে ভোটগ্রহণ। চলবে রাত দশটা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবং বিরোধী লেবার পার্টি। তবে নির্বাচনে কেয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি রেকর্ড ভাঙা জয় পেতে যাচ্ছে বলে স্বীকার করেছে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দল কনজারভেটিভ পার্টি।

এই নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি, লেবার পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, গ্রিন পার্টি, রিফর্ম পার্টি, স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টিসহ ছোট-বড় অন্তত ৯৮টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। হাউস অব কমন্সের ৬৫০টি আসনের বিপরীতে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোনীত, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ এই নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক ৪ হাজার ৫১৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ৩২৬টি আসন নিশ্চিত করতে হবে।

বিভিন্ন জনমত জরিপ অনুযায়ী, পার্লামেন্টের ৬৫০টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪৮৪টিতে জয় পাবে লেবার পার্টি। যা ১৯৯৭ সালে টনি ব্লেয়ারের নেতৃত্বাধীন লেবারের ৪১৮টি আসনে জয়ের চেয়েও বেশি। সেবার ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আসনে জয়ের অনন্য কীর্তি গড়েছিল লেবার পার্টি।

অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ৬৪টি আসনে জয় পাবে বলে পূর্বাভাসে উঠে এসেছে। যদি এই ধারণা সঠিক হয় তাহলে ১৮৩৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া কনজারভেটিভ পার্টি তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে কম আসনে জয় পাওয়ার লজ্জায় পড়বে।

দেশটির সরকারব্যবস্থা পাঁচ বছর মেয়াদি। সংবিধান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে নির্বাচনের পর পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। তবে জনপ্রিয়তার তলানিতে থাকায় গত ২২ মে আকস্মিক আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। জনমত জরিপ অনুযায়ী ২০২১ সাল থেকে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা কমছে।

বিবিসির পলিটিক্যাল এডিটর ক্রিস ম্যাসন বলছেন, দলের কিছু রাজনীতিবিদ মনে করেন, পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হবে না এবং ভোটারদের মতপ্রকাশের যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে নির্বাচন পিছিয়ে দিলে কনজারভেটিভ পার্টির পরাজয় আরও খারাপভাবে হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।

তবে কনজারভেটিভ পার্টির ওপর থেকে জনগনের আস্থা হারানোর কারণ হিসেবে পার্টিগেট কেলেঙ্কারিকে দায়ী করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেকরা। করোনার সময়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টির আয়োজন এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সেসব পার্টিতে উপস্থিত থাকাই কাল হয়েছে দলটির জন্য।